খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২ জুলাই, ২০২৪

Breaking News

  নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে বরপা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে এন্টি টিররিজম ইউনিট
  সুনামগঞ্জের দেয়ারাবাজারে সুরমা নদীতে নৌকা ডুবে নারী-শিশুসহ নিখোঁজ ৩

যশোরে গৃহবধু তুলি হত্যাকাণ্ডে দেবরের ফাঁসির আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার গৃহবধু জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যা মামলায় দেবর বিমান বাহিনীর সাবেক কর্পোরাল প্রভোস্ট মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া বেগম এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফিকার আলীর সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন স্ত্রী তুলি। এসময় দেবর শাহাবুদ্দিন তার ঘরে প্রবেশ করলে শ্বাশুড়ি ফরিদা তার ঘরের দরজা আটকে দেয়। এরপর শাহাবুদ্দিন ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে তুলিকে জখম করে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শাহাবুদ্দিন ও তার মা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা তুলিকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করে। পরে সিএমএইচ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরের দিন দুই সন্তানের জননী তুলি মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তুলির দেবর, শ্বাশুড়ির সাথে তার স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তুলির স্বামী জুলফিকার আলীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ হত্যায় তার স্বামীর প্রত্যক্ষ মদদ ছিল।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তুলির দেবর মোঃ শাহাবুদ্দিনকে ফাঁসি ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দণ্ডিত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এদিকে, এ রায়ে পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট না মামলার বাদী পক্ষ। নিহত তুলির ভাই নূর আলম জানান, জুলফিকার আলী ও তার ভাই সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। চার্জশিটে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ফলে ওই দুই আসামির শাস্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!